স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় কড়াকড়ি ছিলো রংপুরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো

স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় কড়াকড়ি ছিলো রংপুরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো
সর্বমোট পঠিত : 99 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

রংপুর জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক এআর মিজানুর রহমান জানান, শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হলে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার কোন বিকল্প নেই। তারা শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সপ্তাহের ৬দিন ৫, ১০ম ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়া হচ্ছে। অন্যান্য শ্রেণির ক্লাস নেয়া হচ্ছে সপ্তাহে একদিন করে।

রংপুর নগরীসহ জেলার স্কুল-কলেজ খোলার দ্বিতীয় দিনেও কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালিত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যথারীতি মাস্ক পরে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছেন। ক্লাসেও বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হয়েছে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের। অভিভাবকদেরও ঢুকতে দেয়া হয়নি ক্যাম্পাসে। এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে চান  প্রতিষ্ঠান কৃর্তপক্ষ।

জানা গেছে, দীর্ঘ ১৭ মাস ২৪ দিন পর স্কুল-কলেজ খুলেছে গত রোববার । প্রথম দিনের মতো সোমবার দ্বিতীয় দিনেও স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় কড়াকড়ি ছিলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। বিশেষ করে রংপুর নগরীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় কর্তৃপক্ষের নজরদারী ছিলো চোখে পড়ার মতো। একই চিত্র দেখা গেছে মাদরাসাগুলো। তবে গ্রাম অঞ্চলের কিছু প্রতিষ্ঠানে গাদাগাদি করে শিক্ষাথীরা ক্লাশ করেছেন বলে জানা গেছে।

রংপুর জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক এআর মিজানুর রহমান জানান, শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হলে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার কোন বিকল্প নেই। তারা শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সপ্তাহের ৬দিন ৫, ১০ম ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়া হচ্ছে। অন্যান্য শ্রেণির ক্লাস নেয়া হচ্ছে সপ্তাহে একদিন করে।

মাহিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ জাহানারা বেগম বলেন, স্বাস্থ্যবিধিসহ সরকারি সকল  নির্দেশনা প্রতি পালনে শতভাগ কাজ করা হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরাও সাড়া দিচ্ছেন।

নগরীর কেরানীরহাট উচ্চ বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ধরনী বর্মন বলেন, দীর্ঘদিন পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছে। তাই বিগত দিনের পড়াশুনার  ক্ষতি পূষিয়ে দিতে শিক্ষকদের বাড়তি নজর থাকবে বলে তিনি জানান।
রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমাদের কঠোর মনিটরিং রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি