রাজশাহীতে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৯০ জনের। সেই নমুনায় জেলার ১৯৯ জনেরই করোনা শনাক্ত হয়েছে। জেলাটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৪০ দশমিক ৬১ শতাংশ। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের নমুনাগুলো পরীক্ষা করা হয়। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের উপপরিচালক সাইফুল ফেরদৌস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
করোনা শনাক্ত
রাজশাহীর ৪৯০ নমুনায় ১৯৯ শনাক্ত
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের দুই ল্যাবে মোট ৫৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২২১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহী জেলার ৪৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৯৯ জনের পজিটিভ এসেছে। পশের জেলা নওগাঁর ৭১ নমুনা পরীক্ষা করে ২১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুটি নমুনা পরীক্ষা করে একজনের করোনা পজেটিভ এসেছে।
রাজশাহীর দুই ল্যাবে সোমবার ৫৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এর মধ্যে রাজশাহীর ৩৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৭৪ জনের পজিটিভ আসে। শতাংশের হিসাবে এ হার নমুনার ৪৫ শতাংশ।
রাজশাহীতে রোগী শনাক্তের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার সংখ্যাও বেড়েছে। এখন পর্যন্ত রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গত সপ্তাহে এক দিনে সর্বোচ্চ ১৬ জন মারা গেছে করোনা ইউনিটে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছে, ওই ১৬ জনের মধ্যে ১০ জন করোনা আক্রান্ত ছিলেন। বাকি ৬ জন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
এ ছাড়াও গত দুই দিনে টানা হাসপাতালটিতে ৮ জন করে মারা গেছে শুধু করোনা ইউনিটে। মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টার হিসাবে করোনায় ৩ জন ও উপসর্গ নিয়ে ৫ জন মারা গেছেন।
আর গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালটিতে মারা গেছে আরও ৮ জন। এর মধ্যে ৪ জন করোনা আক্রান্ত, আর ৪ জন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
গত ২৪ মে থেকে ৯ জুন পর্যন্ত ১৭ দিনে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিট ও আইসিউতে মারা গেছেন ১৩০ জন।
সীমান্তবর্তী জেলা রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁয় বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার। এসব জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে।
জেলাটিতে সংক্রমণ ঠেকাতে দুই সপ্তাহের লকডাউন দেয়া হয়েছিল। রাজশাহীতেও সংক্রমণ ঠেকাতে সিটি করপোরশেন বেশ কিছু কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
আর রাজশাহীর পাশের জেলা নাটোরের সদর ও সিংড়া পৌরসভায় বুধবার থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
মন্তব্য