নাগেশ্বরী উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মজিবর রহমান বলেন, আমার ইউনিয়নটি পুরাই চরাঞ্চল এখানে পুকুরের সংখ্যা একেবারেই কম। তাও চলমান বন্যায় না হলেও ১৫-২০টি পুকুর পানিতে তলিয়ে গেছে।
প্রায় ২১৯টি পুকুর বন্যার পানিতে প্লাবিত
বন্যায় কুড়িগ্রামে ২০২ জন মৎস্যচাষীর, ৫৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি
এ বছর বিলম্বিত বন্যায় কুড়িগ্রামের সদর উপজেলা, উলিপুর, নাগেশ্বরী, রৌমারী ও রাজিবপুরসহ ৯ উপজেলায় ছোটবড় মিলে প্রায় ২১৯টি পুকুর বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে ২০২ জন মৎস্যচাষী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
কুড়িগ্রাম সদরের সুমন মিয়া জানান, মাছ বিক্রি করার সময় এসেছে, এমতাবস্তায় বন্যার পানিতে ওই দুইটা পুকুরের সব মাছ বাহির হয়ে গেল। এতে করে ৪০-৫০ হাজার টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।
ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম গ্রামের রহমত জানান, আমি ৫ হাজার টাকার পোনা মাছ ছাড়ছি সেই মাছ বড় না হতেই বন্যায় পুকুর তলিয়ে সব মাছ বাহির হয়ে গেছে। এতে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।
নাগেশ্বরী উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মজিবর রহমান বলেন, আমার ইউনিয়নটি পুরাই চরাঞ্চল এখানে পুকুরের সংখ্যা একেবারেই কম। তাও চলমান বন্যায় না হলেও ১৫-২০টি পুকুর পানিতে তলিয়ে গেছে।
কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালিপদ রায় জানান, এ বছর বন্যায় জেলায় ৯টি উপজেলায় ২১৯টি পুকুর বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। যার আয়তন প্রায় ৩৩ হেক্টর। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ২০২ জন মৎস্যচাষী। এতে করে ৫৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মন্তব্য