৪ মাস পর খুলছে সুন্দরবন

সুন্দরবন
সর্বমোট পঠিত : 308 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

করোনা স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে দেশি-বিদেশি ইকো ট্যুরিস্টরা (প্রতিবেশ পর্যটক) সুন্দরবনের ট্যুরিস্ট স্পর্ট করমজল, কটকা, কচিখালী, হরবাড়িয়া, হিরণ পয়েন্ট, দুবলা ও নীলকমলসহ সমুদ্র তীরবর্তী বনাঞ্চলের যেতে পারবেন। তবে, প্রতিটি ট্যুরিস্ট লঞ্চে সর্বোচ্চ ৭৫ জন যাত্রী বহন করতে পারবে। ট্যুর অপারেটরা করোনা প্রতিরোধে বন বিভাগের এই নির্দেশনা না মানলে কোনো ধরনের শুনানি ছাড়াই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।


দেশে করোনার পরিস্থিতির উন্নতির কারণে টানা সাড়ে চার মাস বন্ধ থাকার পর কাল (১ সেপ্টেম্বর ) থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড সুন্দরবন।

করোনা স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে দেশি-বিদেশি ইকো ট্যুরিস্টরা (প্রতিবেশ পর্যটক) সুন্দরবনের ট্যুরিস্ট স্পর্ট করমজল, কটকা, কচিখালী, হরবাড়িয়া, হিরণ পয়েন্ট, দুবলা ও নীলকমলসহ সমুদ্র তীরবর্তী বনাঞ্চলের যেতে পারবেন। তবে, প্রতিটি ট্যুরিস্ট লঞ্চে সর্বোচ্চ ৭৫ জন যাত্রী বহন করতে পারবে। ট্যুর অপারেটরা করোনা প্রতিরোধে বন বিভাগের এই নির্দেশনা না মানলে কোনো ধরনের শুনানি ছাড়াই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।

খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো জানান, গত ১৯ আগস্ট থেকে দেশের সব পর্যটন স্পট খুলে দেওয়া হলেও তখন দেশি-বিদেশি ইকো ট্যুরিস্টদের জন্য সুন্দরবন হয়নি। বর্তমানে দেশে করোনার পরিস্থিতির আরো উন্নতির কারণে বন অধিদপ্তরের নির্দেশে টানা সাড়ে চার মাস বন্ধ থাকার পর কাল ১ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে সুন্দরবন। করোনা স্বাস্থ্যবিধি ও সুন্দরবন ভ্রমণ নীতিমালা মেনেই পর্যটকদের জন্য সুন্দরবন উন্মুক্ত হবে। ট্যুর অপারেটরদের প্রতিটি লঞ্চ বা জাহাজে সর্বোচ্চ ৭৫ জন যাত্রী বহন করতে পারবে। কেউ ৭৫ জনের বেশি যাত্রী বহন করলে তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের শুনানি ছাড়াই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পর্যটকদের সুন্দরবনের ট্যুরিস্ট স্পর্ট করমজল, কটকা, কচিখালী, হরবাড়িয়া, হিরণ পয়েন্ট, দুবলা ও নীলকমলসহ সমুদ্র তীরবর্তী বনাঞ্চল ভ্রমণসহ নৌযানে থাকাকালে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

তিনি আরও জানান, দেশে করোনা সংক্রামণ বেড়ে যাওয়ার কারণে ২০২০ সালের ২৬ মার্চ থেকে সুন্দরবন ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলে ২০২০ সালের ১ নভেম্বর থেকে স্বল্প পরিসরে সুন্দরবন ভ্রমণের সুযোগ দেয় বন বিভাগ।

সে সময়ে প্রতিটি ট্যুরিস্ট লঞ্চ বা জাহাজে সর্বোচ্চ ৫০ জন যাত্রী বহনের অনুমতি দেওয়া হয়। দেশে করোনা সংক্রমণ আবারও বেড়ে যাওয়ার কারণে সাড়ে সাত মাস পর গত ৩ এপ্রিল সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশে ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ফলে গত সাড়ে চার মাস সুন্দরবনে দেশি-বিদেশি প্রতিবেশ পর্যটকদের ভ্রমণ বন্ধ থাকে।

সুন্দরবন ট্যুর অপারেটর আব্দুল্লাহ বনি জানান, করোনাকালে আমরা সর্বশান্ত হয়ে পড়েছি। বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে সুন্দরবন কেন্দ্রীক পর্যটন চালু হওয়ায় এই সেক্টরের সাথে জড়িতরা নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ সৃষ্টি হলো। বন বিভাগের সব ধরনের নীতিমালাসহ করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ট্যুর অপারেট করা হবে।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি