বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রত্যেক হজযাত্রীর সার্বিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হজযাত্রী প্রেরণকারী কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। এ স্বাস্থ্য পরীক্ষায় হজযাত্রীরা হজ পালনের জন্য স্বাস্থ্য ঝুঁকিমুক্ত এরূপ প্রত্যয়ন দিতে হবে। এ বিষয়ে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় হজযাত্রী প্রেরণকারী দেশগুলোকে পত্র পাঠিয়েছে। পত্রে একজন হজযাত্রী যেসব শারীরিক পরিস্থিতিতে হজের অনুমতি পাবেন না তার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে।
কারা হজের অনুমতি পাচ্ছেন না জানালো ধর্ম মন্ত্রণালয়
দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্তদের সৌদি সরকার হজের অনুমতি দেবে না বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সোমবার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ আবুবকর সিদ্দীকর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রত্যেক হজযাত্রীর সার্বিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হজযাত্রী প্রেরণকারী কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। এ স্বাস্থ্য পরীক্ষায় হজযাত্রীরা হজ পালনের জন্য স্বাস্থ্য ঝুঁকিমুক্ত এরূপ প্রত্যয়ন দিতে হবে। এ বিষয়ে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় হজযাত্রী প্রেরণকারী দেশগুলোকে পত্র পাঠিয়েছে। পত্রে একজন হজযাত্রী যেসব শারীরিক পরিস্থিতিতে হজের অনুমতি পাবেন না তার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কোনো হজযাত্রীর শরীরের প্রধান অঙ্গসমূহ অকার্যকর হলে তিনি হজের অনুমতি পাবেন না। এর মধ্যে রয়েছে ডায়ালাইসিস চলছে এমন কিডনি রোগ, গুরুতর হৃদরোগ, সবসময় অক্সিজেন প্রয়োজন হয় এমন ফুসফুসের রোগ, এবং ভয়াবহ লিভার সিরোসিস। এছাড়া গুরুতর স্নায়ুবিক বা মানসিক রোগ, স্মৃতিভ্রষ্টতা, অতি বয়স্ক ব্যক্তি, শেষ প্রান্তিকের গর্ভাবস্থা ও যেকোন স্তরে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থায়ও হজের অনুমতি দেওয়া হবে না।
সংক্রামক রোগ যেমন যক্ষ্মা, ভাইরাল হেমোরেজিক জ্বর এবং কেমোথেরাপি বা অন্য কোনো নিবিড় ইমিউনোথেরাপী চিকিৎসা নিচ্ছেন ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তিকেও হজের অনুমতি দেওয়া হবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হজযাত্রী প্রেরণের ক্ষেত্রে হজযাত্রী প্রেরণকারী কর্তৃপক্ষকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিমুক্ত প্রত্যয়ন করে নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মে প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য বৈধ স্বাস্থ্য সনদ ইস্যু করতে অনুরোধ করেছে সৌদি আরব। আগমন ও বহির্গমন প্রান্তে মনিটরিংয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়েছে। নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ইস্যুকৃত স্বাস্থ্য সনদের সত্যতা ও যথার্থতা যাচাই করবে মনিটরিং দল। কোনো দেশের একজন হজযাত্রীর তালিকাভুক্ত স্বাস্থ্য সনদে সমস্যা দেখা দিলে সংশোধনমূলক ও নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, “মসৃন ও নিরাপদ হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে শারীরিক সক্ষমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদেশ থেকে হজযাত্রী প্রেরণের ক্ষেত্রে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিধিনিষেধ কঠোরভাবে অনুসরণ করা হবে।”
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হজের নিবন্ধন না করার জন্য নিবন্ধন শুরু হওয়ার আগেই ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। হজ এজেন্সিসমূহকেও এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, বিস্তারিত ধারণা নিতে সৌদি সরকারের অনুরোধে সেদেশে অনুষ্ঠিত একটি ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করছেন বাংলাদেশি দুই চিকিৎসক।
মন্তব্য