জামালপুরে কিশোরীকে অপহরণের দায়ে যুবককে যাবজ্জীবন

সর্বমোট পঠিত : 83 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফজলুল হক বলেন, ব্যবসায়ী সুজন জামালপুরে বাণিজ্যমেলায় ব্যবসা করতে আসেন। তিনি জামালপুর শহরের ফিশারি মোড় এলাকায় পিয়ারুল ইসলামের (৪২) গুদামঘর ভাড়া নেন। স্কুলপড়ুয়া কিশোরীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন সুজন। কিন্তু পরিবারের লোকজন প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর স্কুলে যাওয়ার পথে সুজন ও তার সহযোগীরা ওই কিশোরীকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করেন।

জামালপুরে স্কুল পড়ুয়া এক কিশোরীকে (১২) অপহরণের মামলায় সুজন (৩১) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে জামালপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্ত সুজন শরিয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার চর কোডালতলী এলাকার সিরাজ বাঘার ছেলে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফজলুল হক বলেন, ব্যবসায়ী সুজন জামালপুরে বাণিজ্যমেলায় ব্যবসা করতে আসেন। তিনি জামালপুর শহরের ফিশারি মোড় এলাকায় পিয়ারুল ইসলামের (৪২) গুদামঘর ভাড়া নেন। স্কুলপড়ুয়া কিশোরীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন সুজন। কিন্তু পরিবারের লোকজন প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর স্কুলে যাওয়ার পথে সুজন ও তার সহযোগীরা ওই কিশোরীকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করেন।

ফজলুল হক আরও বলেন, এ ঘটনায় একই বছরের ৪ ডিসেম্বর জামালপুর থানায় মামলা দায়ের করেন অপহৃত কিশোরীর মা। পরে প্রায় এক মাস পর অপহরণের শিকার ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। ২০২৩ সালের ১৯ এপ্রিল ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা।

আইনজীবী ফজলুল হক জানান, মামলায় ১০ জন সাক্ষীর মধ্যে চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামির অনুপস্থিতে রায় ঘোষণা করেন বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় রায়ে আসামি সুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। জরিমানার অর্থ ভুক্তভোগী শিশুকে দেওয়ার আদেশ দেন আদালত।

মামলায় আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোবারক হোসেন।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি