আমি দ্বিতীয় বিবাহ করায় আমার প্রথম স্ত্রী আরিফা বেগম ও আমার বড় ছেলে আরিফুল ইসলাম আমার ওপর ক্ষুব্ধ হয়।দুই মাস আগে আমি দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে আমার বাড়িতে গেলে আমার ছেলে আরিফুল ও আমার ভাতিজা ফজলু মিয়া আমাকে মারধর করে রক্তাক্ত করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এলাকাবাসী আমাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে দীর্ঘ সাত দিন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসধীন ছিলাম।
দেওয়ানগঞ্জে ছেলে ও ভাতিজার বিরুদ্ধে বাবার সংবাদ সম্মেলন
রশীদুল আলম শিকদার: জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ছেলে ও ভাতিজার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন অসহায় এক বাবা। রোববার ৯ (নভেম্বর)সকালে তারাটিয়া বাজারে ওই সংবাদ সম্মেলন করেন ডাংধরা ইউনিয়নের বাঘারচর এলাকার ভুক্তভোগী হাসমত আলী।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী হাসমত আলী বলেন, প্রথম স্ত্রীকে তালাক প্রদান করে তিন মাস আগে আমি পাশ্ববর্তী এলাকার আব্দুল কুদ্দুস এর মেয়ে নাছিমা আক্তার( ৩৫) নামে এক নারীকে দ্বিতীয় বিবাহ করি।
আমি দ্বিতীয় বিবাহ করায় আমার প্রথম স্ত্রী আরিফা বেগম ও আমার বড় ছেলে আরিফুল ইসলাম আমার ওপর ক্ষুব্ধ হয়।দুই মাস আগে আমি দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে আমার বাড়িতে গেলে আমার ছেলে আরিফুল ও আমার ভাতিজা ফজলু মিয়া আমাকে মারধর করে রক্তাক্ত করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এলাকাবাসী আমাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে দীর্ঘ সাত দিন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসধীন ছিলাম।
আমার জীবনে নিরাপত্তার স্বার্থে আমি মামলা দায়ের করলে তারা আরও ক্ষেপে যান। মামলায় কাস্টরি হয়ে আমার ছেলে জামিনে বেরিয়ে আসে আমাকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। আমার বাড়ি, ঘর দোকান ও সম্পদ দখল করে নিয়েছেন। তারা আমাকে আমার বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছেন না। আমি দুই মাস ধরে আমার ফুফুর বাড়িতে অবস্থান করছি এবং মানবেতর জীবনযাপন করছি।
আমি বাড়িতে যেতে চাইলে আমার ছেলে আরিফ ও ভাতিজা ফজলু আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।
তাই প্রশাসনের কাছে আমার জীবনের নিরাপত্তা কামনা করছি। পাশাপাশি আমার ছেলে ও ভাতিজার বিচার দাবি করছি। সংবাদ সম্মেলনে তার দ্বিতীয় স্ত্রী নাছিমা আক্তারসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য