এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তাৎক্ষণিক তদন্তে জানা গেছে, এরশাদ উল্লাহ এই হামলার মূল লক্ষ্যবস্তু ছিলেন না, তবে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। অন্তর্বর্তী সরকার তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছে এবং ঘটনাটির পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
এরশাদ উল্লাহ লক্ষ্যবস্তু ছিলেন না: অন্তর্বর্তী সরকার
চট্টগ্রামে বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ নির্বাচনী প্রচারে গুলির ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে দাবি করা হয়েছে, এ হামলার লক্ষ্য এরশাদ উল্লাহ ছিলেন না। মঙ্গলবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতি দেয়।
মঙ্গলবার বিকেলে নগর বিএনপির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম–৮ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ তার নির্বাচনী এলাকায় জনসংযোগ করছিলেন। এ সময় চান্দগাঁও থানার চালিতাতলী খন্দকারপাড়া এলাকায় অতর্কিতভাবে গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে এরশাদ উল্লাহসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে আহত অবস্থায় মারা যান সরোয়ার বাবলা।
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তাৎক্ষণিক তদন্তে জানা গেছে, এরশাদ উল্লাহ এই হামলার মূল লক্ষ্যবস্তু ছিলেন না, তবে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। অন্তর্বর্তী সরকার তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছে এবং ঘটনাটির পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরকার এ ঘটনার নিন্দা জানায় এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী ও নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে। দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে প্রধান উপদেষ্টা নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।
“আমাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে সহিংসতার কোনো স্থান নেই,” — বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
ঘটনার পরপরই সিএমপি দুর্বৃত্তদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে বলেও জানানো হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সরকার সব রাজনৈতিক নেতা ও তাদের সমর্থকদের শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছে, যাতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও সহিংসতামুক্ত করতে সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে।
মন্তব্য