বালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মস্তুয়ারা বেগম বলেন, ’এই সহযোগিতা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দের সৃষ্টি করেছে। আমরাও আনন্দিত।
শেরপুরে শিক্ষার্থীদের মাঝে টিফিনবক্স ও মামপট বিতরণ





শেরপুর সদরের বাজিতখিলা ইউনিয়নের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে টিফিনবক্স ও মামপট বিতরণ শুরু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে ইউনিয়নের বালিয়া সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর হাতে টিফিন বক্স ও মামপট তুলে দেন বাংলাদেশ শিক্ষা পর্যবেক্ষক ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সাবেক ছাত্রনেতা বুলবুল আহম্মেদ।
এ সময় স্কুলের শিক্ষক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সরজমিনে দেখা যায়, স্কুলটির দুই শতাধিক শিশুর হাতে নতুন টিফিন বক্স আবার কারও হাতে মামপট। মুখে হাসি ও চোখে আনন্দের ঝিলিক। এমনই দৃশ্য দেখা গেলো শেরপুর সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের ১৮ নং বালিয়া সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে।
নতুন টিফিন বক্স ও মামপট পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র রায়হান বলেন, আমাদেরকে এই প্রথম কেউ টিফিন বক্স উপহার দিলেন। খুব ভালো লাগছে।
আরেকজন দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী সাইমা বলেন, আমরা মামপটে পানি নিয়ে প্রতিদিন স্কুলে আসবো। ভালোকরে পড়ালেখা করবো। এটা পেয়ে খুব আনন্দ লাগছে।
এদিকে সন্তানদের মাঝে উপহার বিতরণের ঘটনায় খুশী অভিভাবকরাও। তারা জানান, গ্রামে অনেক পরিবারই দরিদ্র। এই উদ্যোগে তাদের সন্তানদের মাঝে নতুন উদ্যম তৈরি করেছে।
বালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মস্তুয়ারা বেগম বলেন, ’এই সহযোগিতা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দের সৃষ্টি করেছে। আমরাও আনন্দিত।
সাবেক ছাত্রনেতা বুলবুল আহম্মেদ বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে শিশুদের স্কুলজীবন শুরু হয়। প্রাথমিক শিক্ষাকে এগিয়ে নিতেই আমার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস। শিক্ষার্থীদের মাঝে এসব উপকরণ বিতরণের এই উদ্যোগ একটি চলমান প্রক্রিয়ার অংশ। ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত আকারে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।
বাজিতখিলা ইউনিয়নে যতগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান বৃদ্ধি এবং প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে আমি নিরলস কাজ করতে সর্বদা প্রস্তুত রয়েছি। বালিয়া সরকারি প্রা. বিদ্যালয়ের এতো সুন্দর খেলার মাঠ থাকলেও খেলাধূলার তেমন কোন সরঞ্জাম নেই। আগামী দিনে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করার মাধ্যমে খেলাধূলায় শিশুদের উদ্ভুদ্ধ করা হবে। এই ইউনিয়নের দুই হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে টিফিন বক্স ও মামপট দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি।
মন্তব্য