ঝিনাইগাতীতে নদীর বাঁধ ভেঙে নিশ্চিহ্ন ১২ পরিবারের বসতভিটা, সৃষ্ট গর্তে মাটি ভরাট শুরু

সর্বমোট পঠিত : 414 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশাফুল আলম রাসেল জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের স্থানীয় এক প্রতিবন্ধী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় ও খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পূর্ণ পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় মহারশি নদীর বাঁধ ভেঙে ভয়াবহ ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে অন্তত ১২টি পরিবারের ঘরবাড়ি ও বসতভিটা। আজ সোমবার দুপুরে বন্যার স্রোতে সৃষ্ট বিশাল গর্তে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেছে স্থানীয়রা। এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার পূর্ব খৈলকুড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 জানা গেছে, কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে মহারশি নদীর পানি বেড়ে গিয়ে বাঁধের একটি পুরাতন অংশ ভেঙে পড়ে। ফলে নদীর পানি হুহু করে ঢুকে পড়ে গ্রামে এবং মুহূর্তেই বিলীন হয়ে যায় একাধিক পরিবার।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সদস্যরা জানান,  হঠাৎ করে বাঁধ ভেঙে গেলে তারা কিছুই বাঁচাতে পারেননি। ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র ও জমিজমাসহ সবকিছু নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

ইউপি সদস্য মো. জাহিদুল হক মনির জানান, বাঁধ ভাঙনের ফলে বড় ধরনের গর্ত তৈরি হয়েছে। বর্তমানে সবার সম্মিলিত উদ্যোগ ও অর্থায়নে সেখানে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো পুনরায় বসতঘর নির্মাণ করতে পারে।  মাটি ভরাটে ১২ লাখ টাকা লাগতে পারে, তাই সমাজের বিত্তশালীদের কাছে আর্থিক সহায়তা কামনা করেন তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশাফুল আলম রাসেল জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের স্থানীয় এক প্রতিবন্ধী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় ও খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পূর্ণ পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে, এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে বাঁধটি স্থায়ীভাবে সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু যথাযথ উদ্যোগের অভাবে এই দুর্যোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি