ইনিংসের শেষ ওভারে দুই ব্যাটারের সামনেই ছিল প্রথম সেঞ্চুরি করার সুযোগ। এর আগে ওয়ানডেতে ৫৩টি ম্যাচে ৫টি ফিফটি পেলেও সর্বোচ্চ ৭৩ রান করা জ্যোতি ছিলেন ৯৫ রানে। অন্যদিকে গত নভেম্বরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৬ রানে আউট হয়ে সেঞ্চুরি হাতছাড়া করা শারমিন ছিলেন ৯২ রানে। ওভারের তৃতীয় বলে ইনিংসের ১৫তম চার মেরে সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যান জ্যোতি।
জ্যোতির দ্রুততম সেঞ্চুরি, রেকর্ড বাংলাদেশেরও





বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের। অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ওয়ানডেতে প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছেন আজ। সেটাও বাংলাদেশের পক্ষে দ্রুততম সেঞ্চুরি। জ্যোতির সেঞ্চুরি ও শারমিন আক্তারের অপরাজিত ৯৪ রানের ইনিংসের সুবাদে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
ওয়ানডেতে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড বাংলাদেশের নারী দলের।
আজ বৃহস্পতিবার লাহোর সিটি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান থাই অধিনায়ক নারুয়েমল চাইওয়াই। ১৫ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে বাংলাদেশের। ওয়ানডে অভিষেকে ১৩ বলে ৮ রান করে ফিরেছেন ইসমা তানজিম।
দ্বিতীয় উইকেটে ফারজানা ও শারমিন মিলে শতরানের জুটি গড়েন। ৮২ বলে ৫৩ রান করেছেন আজকের আগে বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান ফারজানা। ২৮তম ওভারে ভাঙে ১৪১ বলে ১০৪ রানের জুটি।
চারে নিগার সুলতানা জ্যোতি নামার পর বাংলাদেশের রানের গতি বাড়ে। শারমিনের সঙ্গে ১৩৮ বলে ১৫২ রান তুলেছেন জ্যোতি, যার ১০১ রানই তাঁর। এতে ওয়ানডেতে নিজেদের সর্বোচ্চ পেয়ে গেছেন জ্যোতিরা। ওয়ানডেতে এর আগে আইরিশদের বিপক্ষে ২৫২ রানই (মিরপুর, ২০২৪) ছিল সর্বোচ্চ।
ইনিংসের শেষ ওভারে দুই ব্যাটারের সামনেই ছিল প্রথম সেঞ্চুরি করার সুযোগ। এর আগে ওয়ানডেতে ৫৩টি ম্যাচে ৫টি ফিফটি পেলেও সর্বোচ্চ ৭৩ রান করা জ্যোতি ছিলেন ৯৫ রানে। অন্যদিকে গত নভেম্বরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৬ রানে আউট হয়ে সেঞ্চুরি হাতছাড়া করা শারমিন ছিলেন ৯২ রানে। ওভারের তৃতীয় বলে ইনিংসের ১৫তম চার মেরে সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যান জ্যোতি।
৭৮ বলেই সেঞ্চুরি পেয়েছেন জ্যোতি। তাঁর আগে বাংলাদেশের হয়ে দুটি সেঞ্চুরি করেছিলেন ফারজানা। ২০২৩ সালে জুলাইয়ে ভারতের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে ১৫৬ বল প্রয়োজন হয়েছিল। সে বছরই ডিসেম্বরে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে আরও বেশি বল লেগেছিল (১৬৫) তাঁর। অর্থাৎ বাংলাদেশের হয়ে ১০০ বলের কমে প্রথম সেঞ্চুরি নিগারের।
জ্যোতি পরের বলেই সিঙ্গেল নিলে সেঞ্চুরির সুযোগ সৃষ্টি হয় শারমিনেরও। তবে সেজন্য শেষ ২ বলে ৭ রান করতে হতো তাঁকে। পঞ্চম বলে সিঙ্গেল নিয়ে প্রান্ত বদল করলে সে সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়। ইনিংসের শেষ বলে আউট হন জ্যোতি। ৮০ বলে ১০১ রানের ইনিংসটিতে ১৫ চার ও ১ ছক্কা ছিল। ১২৬ বলে ১১ চারে ৯৪ রানে অপরাজিত ছিলেন শারমিন।
২৭২ রানের লক্ষ্যে নেমেছে থাইল্যান্ড। মজার ব্যাপার, আগের দুই সেঞ্চুরির কোনো ম্যাচেই বাংলাদেশ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি, আজ জ্যোতির ভাগ্যে কী আছে, সেটা আগ্রহ জাগাচ্ছে। পরিসংখ্যান বাংলাদেশের পক্ষে। ওয়ানডেতে ২২৫রান বা এর বেশি করে বাংলাদেশ নারী দল কখনো হারেনি।
মন্তব্য