জাহাজটির অধিনায়ক কমান্ডার আবু রাইয়ান আল বেরুনী বলেন, বানৌজা কপোতাক্ষ জাহাজটি গভীর সমুদ্র এবং উপকূলীয় অঞ্চলে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
নতুন প্রেরণা বুকে নিয়ে নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ঘুরে দেখলেন দর্শনার্থীরা
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে মোংলার দিগরাজ নেভাল বার্থে সর্বসাধারনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয় নৌবাহিনীর সমুদ্রগামী জাহাজ বানৌজা কপোতাক্ষ। ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে জাহাজ দেখার জন্য মোংলার নৌবাহিনী ঘাঁটিতে বাড়তে থাকে দর্শনার্থীদের ভিড়। নৌবাহিনীর নির্দেশনা মেনে দর্শনার্থীরা বানৌজা কপোতাক্ষ জাহাজে প্রবেশ করে নানা ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম ঘুরে দেখেন। এসময় নৌবাহিনীর দায়িত্বরত সদস্যরা দর্শনার্থীদের তাদের দায়িত্ব ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবহিত করেন।
দুপুর ২টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত বানৌজা কপোতাক্ষ জাহাজ পরিদর্শন করেন প্রায় দেড় হাজার দর্শনার্থী। নানা বয়সী মানুষ বিশেষ করে নারী, পুরুষ আর কিশোররা যুদ্ধজাহাজ দেখে খুশি হন। নতুন সাহস, নতুন প্রেরণা বুকে নিয়ে ঘরে ফেরেন তারা। মানুষের কৌতূহল আর প্রশ্নের জবাব দেন নৌবাহিনীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।
মোংলা পৌরসভার বাতেন সড়ক থেকে জাহাজ দেখতে আসা মাসুদ রানা বলেন, এখানে প্রথমবার আসছি।আমাদের মোংলায় এত বড় বড় যুদ্ধজাহাজ এবং ফ্রিগেট আছে জানতাম না। এখানে এসে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম।
দাকোপের বাজুয়া এসএন কলেজের ছাত্রী তানিয়া খাতুন বৃষ্টি বলেন, সশস্ত্র বাহিনী দিবস এবং অন্যান্য দিবসে যেদিন জাহাজ উন্মুক্ত রাখা হয়।আমরা প্রতিবারই আসি।
জাহাজ দেখার পাশাপাশি নৌবাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখি। এখানের পরিবেশ দেখলে মনে হবে আমরা বাংলাদেশ না, ইউরোপের কোনো দেশে আছি।
জাহাজটির অধিনায়ক কমান্ডার আবু রাইয়ান আল বেরুনী বলেন, বানৌজা কপোতাক্ষ জাহাজটি গভীর সমুদ্র এবং উপকূলীয় অঞ্চলে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
মন্তব্য