বগুড়ার ৪ বছরের মেয়েকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা: চিরকুটে লেখা কেউ দায়ী নন

মেয়ে : চিরকুটে লেখা
সর্বমোট পঠিত : 31 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

পরিবারের সদস্যরা জানান, সকালে স্বামী আবদুল মোমিন ও কন্যা মুশফিকাকে সাথে নিয়ে খাবার খায় জুলেখা বেগম। আব্দুল মমিন অটোরিকশা নিয়ে রোজগারে বের হলে কন্যা মুশফিকাকে নিয়ে ঘরেই ছিলেন তিনি। দুপুর গড়িয়ে গেলে মা মেয়ের কোন সাড়া না পেয়ে বাড়ির সদস্যরা ডাকাডাকি শুরু করেন বাইরে থেকে। পরে তারা জানালা দিয়ে দেখতে পান বিছানায় পড়ে আছে শিশু মুশফিফার মরদেহ, আর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের তীরের সাথে ঝুলে রয়েছেন জুলেখা বেগম।

বগুড়ার কাহালুতে চিরকুট লিখে চার বছর বয়সী কন্যা সন্তান মুশফিকাকে শ্বাসরোধ করে  হত্যার পর মা জুলেখা বেগম (২৫) আত্মহত্যা করেছেন৷ বৃহস্পতিবার দুপুরে কাহালু উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়নের ডেপোইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  পুলিশ বিকেল ৫টার দিকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, সকালে স্বামী আবদুল মোমিন ও কন্যা মুশফিকাকে সাথে নিয়ে খাবার খায় জুলেখা বেগম। আব্দুল মমিন অটোরিকশা নিয়ে রোজগারে বের হলে কন্যা মুশফিকাকে নিয়ে ঘরেই ছিলেন তিনি। দুপুর গড়িয়ে গেলে মা মেয়ের কোন সাড়া না পেয়ে বাড়ির সদস্যরা ডাকাডাকি শুরু করেন বাইরে থেকে।  পরে তারা জানালা দিয়ে দেখতে পান বিছানায় পড়ে আছে শিশু মুশফিফার মরদেহ, আর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের তীরের সাথে ঝুলে রয়েছেন জুলেখা বেগম।

কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহিনুজ্জামান জানান, জুলেখা ও মুসফিকার মরদেহের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া যায়। তাতে লেখা ছিল- ' আমি আমার মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যা করলাম। আমাদের এই মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।' প্রাথমিকভাবে তাদের ধারণা মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মা আত্মহত্যা করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত এই দুই মৃত্যুর ঘটনা রহস্যজনক। পারিবারিকভাবে জুলেখার কারো সঙ্গে কোনো বিবাদ ছিল না। মৃতদেহের কাছ থেকে পাওয়া চিরকুট পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং ঘটনার রহস্য উন্মোচনে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।  

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি