বিএনপিতে অনুপ্রেবেশ কারীদের চিহ্নিত করতে হবে- হযরত আলী

৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শেরপুর জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির উদ্যোগে এক বিশাল গণ মিছিল শেষে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হযরত আলী।
সর্বমোট পঠিত : 88 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

তিনি বলেন, দেশ স্বৈরশাসক মুক্ত হয়েছে। কিন্তু তাদের দোষররা এখনও রয়ে গেছে। তারা আবারও নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তাদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

আওয়ামীলীগের সাথে আতাতকারী কেউ বিএনপিতে ঢুকতে পারবে না। আমি অনুরোধ করবো দলে আর কোন ভেদাভেদ না রেখে সব ভুলে এক হয়ে দলটাকে সুন্দর করি। একসাথে কাজ করি। দেশনায়ক জনাব তারেক রহমানের হাতটাকে শক্তিশালী করি। বিএনপিতে অনেকে অনুপ্রেবেশ করতে চাচ্ছে। তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে বলেছেন শেরপুর জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক আলহাজ্ব মোঃ হযরত আলী। 

৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শেরপুর জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির উদ্যোগে এক বিশাল গণ মিছিল শেষে এক সমাবেশে এ কথা জানান তিনি। 

দীর্ঘ ১৬ বছর পর মহান এ দিবসটি স্বাধীনভাবে পালন করার সুযোগ পেয়ে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব মোঃ হযরত আলীর শেরপুর জেলা শহরের মাধবপুরস্থ বাসার সামনে সমবেত হয়। সেখান থেকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব মোঃ হযরত আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক আওয়াল চৌধুরী, সদস্য সচিব আলহাজ্ব এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় সদস্য প্রকৌশলী ফাহিম চৌধুরীর নেতৃত্বে বিশাল শোভাযাত্রা নিয়ে শেরপুর শহর প্রদক্ষিণ করে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। 

অনুষ্ঠিত সমাবেশে আলহাজ্ব মোঃ হযরত আলী বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে আধিপত্যবাদী চক্রের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য সিপাহী-জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে নেমে এসেছিলো। তাদের ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মাধ্যমেই রক্ষা পায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ঠিক ২০২৪ সালেও ওই ফ্যাসিবাদি আওয়ামী লীগের এবং শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়েছে ছাত্রজনতা। 

তিনি বলেন, দেশ স্বৈরশাসক মুক্ত হয়েছে। কিন্তু তাদের দোষররা এখনও রয়ে গেছে। তারা আবারও নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তাদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এখনো অনেক কিছু বাকি আছে। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা। মানুষের গনতান্ত্রিক অধিকার তাদের হাতে ফিরিয়ে দেয়া। দেশে একটি সুন্দর নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সবাইকে রাজপথে থাকতে হবে। কারণ এখনো বিএনপিকে নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তবে কোন ষড়যন্ত্রই সফল হবে না। আমরা দেশনায়ক তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে অতন্দ্র প্রহরীর মতো মাঠে আছি এবং থাকবো।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আওয়াল চৌধুরী ও সদস্য সচিব আলহাজ্ব এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম। 

এসময় কেন্দ্রীয় সদস্য ফাহিম চৌধুরী, অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ পলাশ, ফজলুল রহমান তারা, কামরুল হাসান, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, নালিতাবাড়ি উপজেলা বিএনপি নেতা ভিপি আনোয়ার, মহিলা দলনেত্রী অ্যাডভোকেট আশরাফুল নাহার রুবি, লিপি বেগম, নুরজাহান বেগম, জেলা যুবদল নেতা আতাহারুল ইসলাম আতা, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম জুন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নিয়ামুল ইসলাম আনন্দসহ বিএনপি ও অঙ্গ দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি