শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড় থেকে নেমে আসা বন্যহাতি পাহাড়ে ফেরাতে কাংশা ও নলকুড়া ইউনিয়নের ৪৫টি স্বেচ্ছাসেবী দলের মাঝে দুইটি করে সার্চ লাইট ও বিকট শব্দের দুইটি করে হুইসেল বাঁশি বিতরণ করেছে বিএনপি।
আওয়ামীলীগ বিভিন্ন প্রকল্প দেখিয়ে দেশ থেকে টাকা লুটপাট করে নিয়ে গেছে- জেলা বিএনপির সভাপতি রুবেল
আওয়ামীলীগ ফাসিবাদী সরকার হাতির তো কোন স্থায়ী সমাধান করতে পারে নাই। বরং সোলার ফেন্সিং এর মত বিভিন্ন ভুয়া লোক দেখানো প্রকল্প দেখিয়ে দেশ থেকে টাকা লুটপাট করে নিয়ে গেছে। হাতির বিষয়টা আমােদর নেতা তারেক রহমান জানে। এবং তিনি ঝিনাইগাতীতে এসেছিলো তখন জেনে এবং দেখে গেছেন। আমরা সরকার গঠন করলে স্থায়ী ভাবে ভারত এবং বাংলাদেশের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে হাতির একটা ব্যবস্থা করবো। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার নওকুচি এলাকায় এসব সামগ্রী তুলে দেন বিএনপি'র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. মাহমুদুল হক রুবেল এসব কথা বলেন।
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড় থেকে নেমে আসা বন্যহাতি পাহাড়ে ফেরাতে কাংশা ও নলকুড়া ইউনিয়নের ৪৫টি স্বেচ্ছাসেবী দলের মাঝে দুইটি করে সার্চ লাইট ও বিকট শব্দের দুইটি করে হুইসেল বাঁশি বিতরণ করেছে বিএনপি।
মো. মাহমুদুল হক রুবেল বলেন, হাতির আক্রমন এ এলাকায় বহুদিন থেকে। হাতির আক্রমনে বহু মানুষের প্রাণ গেছে। বহু মানুষ নিঃস্ব হইছে। বাড়িঘড়, আবাদ-ফসল ধ্বংস হইছে। আমরা ২০০২ সালে এমপি ছিলাম তখন স্থায়ীভাবে কিছু করতে পারি নাই। সেসময় পেট্রল এবং মশাল জ্বালিয়ে হাতি তাড়িয়েছি।
সাবেক সংসদ বলেন, আমরা হাতি তারানো জন্য যে টিম গুলো গঠন করছি। এ টিম গুলো করার কিন্তু উদেশ্য আছে। এ টিম গুলো করতে গিয়ে আমি কিন্তু দলীয়করণ করি নাই। হাতি তাড়ানোর টিম হবে যারা সেচ্ছায় শ্রম দিবে। এখানে দল মত নির্বিশেষে টিম হবে। এখানে কোন বিএনপি, আওয়ামীলীগ ও জামাত কোনো বুঝি না। সব দলের লোকই আছে। যারা সতি্যকার অর্থে হাতির তান্ডবের মধ্যে পরে, যারা সত্যিকার অর্থে সেচ্ছায় হাতি তাড়াতে এগিয়ে যাবে তাদের নিয়ে এ টিম করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকদের টিমের মাঝে ৯০ টি সার্চ লাইট ও ৯০ টি বিকট শব্দের হুইসেল বাঁশি বিতরণ করা হচ্ছে আজ। আর পরবর্তীতে যে টিম বেশি কাজ করবে তাদের আরও বেশি জিনিস দেওয়া হবে। আর মশাল জালানোর জন্য কেরোসিন তেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমি নিজে আপানেদর সাথে থেকে হাতি তাড়ানোর কাজ করবো।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, গারো পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় ধান পাকার সময় হওয়ায় খাদ্যের সন্ধানে সমতলে নেমে আসতে শুরু করেছে বন্য হাতির পাল। প্রতিবছরের এ সময়ে হাতির পাল বেশি ক্ষয়ক্ষতি করে থাকে এসব এলাকায়। শাবকসহ অর্ধশতাধিক হাতির পালটি ক্ষুধার তাড়নায় দিশেহারা। তারা টিলায় থাকা গাছের ছালবাকল খাচ্ছে। লোকালয়েও আসছে। হাতির তাণ্ডবে মানুষের ঘর-বাড়ির ক্ষতির পাশাপাশি পাকা-কাঁচা ধান, শাকসবজির ফসল খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে বন্য হাতির দল। তাই জানমাল ও ফসল রক্ষায় স্থানীয়রা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। ফসলের জমিতে হাতি প্রতিরোধে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন তারা।
স্থানীয় বিএনপি নেতাদের কাছে জানা যায়, হাতির পাল পাহাড়ে নামার খবর জানতে পারে বিএনপি'র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. মাহমুদুল হক রুবেল। তার নির্দেশনায় নলকুড়া ও কাংশা ইউনিয়নের স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী ও দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বন্য হাতির আক্রমণ ও আতঙ্ক প্রতিরোধে ১০ সদস্য বিশিষ্ট ৪৫টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসব কমিটির স্বেচ্ছাসেবকদের মাঝে ৯০ টি সার্চ লাইট ও ৯০ টি বিকট শব্দের হুইসেল বাঁশি বিতরণ করার পাশাপাশি মশাল জ্বালানোর জন্য কেরোসিন তেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সঙ্গে একটি করে জরুরি সেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
বন্য হাতির তাণ্ডব ঠেকাতে এসব সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কাংশা ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপির সভাপতি মো. আতাউর রহমান। এতে বক্তব্য দেন শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. কাকন রেজা, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শাহজাহান আকন্দ, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আব্দুল মান্নান, নলকুড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি'র সভাপতি মো. রুকুনুজ্জামান, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ। এ সময় বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য