ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতীতে হয়েছে শান্তিপূর্ণ ভোট: প্রশংসিত ডিসি এসপি

সর্বমোট পঠিত : 54 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

জেলা প্রশাসক আবদুল্লাহ আল খায়রুম বলেন, প্রশাসন জনগনকে নির্বিঘ্নে ভোট দেওয়ার পথ তৈরি করে দিয়েছে। এতে আন্তরিকতার কোন অভাব ছিল না। তাই অবাধ, নিরপেক্ষ ভোট হয়েছে।


ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও প্রথম দফায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শেরপুরের শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। এতে প্রশংসিত হয়েছেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক, নবাগত পুলিশ সুপার ও নির্বাচন অফিসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য কর্মকর্তারা।

শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় ১শ ৪১ কেন্দ্রের কোথাও কোন গোলযোগ হয়নি। এসব ভোট কেন্দ্র বিকেল ৪টা পর্যন্ত শান্ত ছিল। তবে দু’ উপজেলাতেই ভোটারদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন সর্বোচ্চ ৩২-৩৩ শতাংশ মানুষ ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছিলেন। বোরো ধান কাটার মওসুম থাকায় ভোটার উপস্থিতির অন্যত  প্রধান কারণ।


বিকেলে শ্রীবরদী উপজেলার তাতিহাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আসেন র‌্যাব ১৪ কমান্ডার অতিরিক্ত ডিআইজি মহিবুল ইসলাম খান। এরপর বিকেল পনে ৪টায় ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র দেখতে যান জেলা প্রশাসক আবদুল্লাহ আল খায়রুম ও পুলিশ সুপার মোঃ আকরামুল হোসেন পিপিএম। এসময় তারা কেন্দ্রে উপস্থিত কয়েকশত মানুষকে জিজ্ঞেস করেন “ ভোট কেমন হয়েছে” জবাবে তারা বলেন, খুব ভালো। কেন্দ্রে উপস্থিত ৭৫ বছর বয়সী সাহাজউদ্দিন প্রশাসনের এ দু’ কর্মকর্তাকে বলেন, ভোট দিবার পারছি, এইডাই শান্তি। অহন যে খুশি সে পাশ করুক আমার আফসোস নাই।

ঝিনাইগাতীর ১২০ বছর বয়সের ডা: আব্দুল বারেক জানান, আমরা খুব খুশি হয়েছি। নির্বাচন সুন্দর হয়েছে। ডিসি সাব, এসপিসাব ও ইলেকশন অফিসারকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা তাদের প্রতি খুব খুশি। শতবর্ষী আছিয়া বেগম বলেন, আমরা ডিসি স্যার এসপি স্যারের প্রতি খুব খুশি। আমার পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিবার পাইলাম।

উপস্থিত সাংবাদিকদের পুলিশ সুপার মোঃ আকরামুল হোসেন পিপিএম বলেন, নির্বাচন কমিশন ও সরকারের পরিস্কার নির্দেশ ছিল “ নির্বাচনে টু শব্দ হবে না। আমরা সে নির্দেশনা সফলতার সাথে পালন করতে পেরেছি।” দুই উপজেলায় কোন ঝামেলা হয়নি।

র‌্যাব১৪ কমান্ডার অতিরিক্ত ডিআইজি মহিবুল ইসলাম খান বলেন, সবাই যাতে নিশ্চিন্তে ভোট দিতে পারেন সেজন্য র‌্যবের ৪টি দল কাজ করছে। আমাদের লক্ষ্য পক্ষপাতহীন নির্বাচন।

জেলা প্রশাসক আবদুল্লাহ আল খায়রুম বলেন, প্রশাসন জনগনকে নির্বিঘ্নে ভোট দেওয়ার পথ তৈরি করে দিয়েছে। এতে আন্তরিকতার কোন অভাব ছিল না। তাই অবাধ, নিরপেক্ষ ভোট হয়েছে।

নির্বাচনে তিন প্লাটুন বিজিবি, ৪২৩ জন পুলিশ সদস্য ও ১ হাজার ৯৯৫ জন আনসার এবং র‌্যাবের ৪টি টহল দল নিরাপত্তা বিধান করেছে।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি