জামালপুরে অ্যাম্বুলেন্সচালক সংকট, বিকল ১০টি

সর্বমোট পঠিত : 20 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

এ নিয়ে জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. ফজলুল হক বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। যাতে আমরা জেলার অ্যাম্বুলেন্স সেবাকে আরও উন্নত করতে।’


জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিজস্ব কোনো অ্যাম্বুলেন্স নেই। পাশের উপজেলা থেকে আনা একটি অ্যাম্বুলেন্সই সম্বল। জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল ও মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একাধিক অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও রয়েছে চালক সংকট। আর ইসলামপুরে দুটি এবং মেলান্দহ, সরিষাবাড়ি ও দেওয়ানগঞ্জে রয়েছে একটি করে অ্যাম্বুলেন্স। এছাড়াও জেলার সাত হাসপাতালে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে কমপক্ষে ১০টি অ্যাম্বুলেন্স।

চালক সংকটে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে কয়েক বছর পড়ে রয়েছে ভারত সরকারের দেওয়া লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স। এছাড়াও সাত হাসপাতালে যেসব অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে সেগুলোর অবস্থাও নাজুক। আর রোগীর চাপ বেশি থাকায় মাঝে মধ্যেই অ্যাম্বুলেন্স সংকটে পড়তে হয় উপজেলার রোগীদের।.



বকশিগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভাঙাচোরা অ্যাম্বুলেন্সের জন্য রোগী মাজায় ব্যথা পায়, শরীরে ব্যথা পায়। এই অবস্থা আর কি, অ্যাম্বুলেন্সে উঠলে রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়।’

একই উপজেলার বাসিন্দা রাশেদুল ইসলাম রনি বলেন, ‘যদি কেউ অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ময়মনসিংহ যায় তাহলে পরে অন্য কোনো রোগী আসলে অ্যাম্বুলেন্স পায় না। ফলে দালালদের মাধ্যমে বেশি টাকায় অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে চিকিৎসা করাতে হয়। অনেক সময় অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে রোগী মারাও যায়।’

মেলান্দহ উপজেলার বাসিন্দা সাকিব আল হাসান নাহিদ বলেন, ‘উপজেলায় অনেক রোগী হওয়ায় একটা অ্যাম্বুলেন্সে আসলে ঠিক মতো কাভার করতে পারে না। সরকার যদি একটা ড্রাইভার নিয়োগ দিত, দুইটা অ্যাম্বুলেন্স চললে আমাদের উপজেলায় যে রোগীরা ছিলো তারা সহজেই জামালপুর-ময়মনসিংহ মেডিকেলে যেতে সুবিধা হত।’


​​​​​​​

চালক সংকটে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে কয়েক বছর পড়ে রয়েছে ভারত সরকারের দেওয়া লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স। 

এদিকে, সরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সের এই অবস্থার সুযোগ নিচ্ছে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসায়ীরা। অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়াসহ নানা অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে।

জামালপুর শহরের বাসিন্দা সাযযাদ হোসেন বলেন, ‘বাইরে থেকে অ্যাম্বুলেন্স নিলে অনেক টাকা লাগে। সরকার যদি আমাদের অ্যাম্বুলেন্স দিত তাহলে এই রোগীগুলো নিরাপদে ময়মনসিংহ-ঢাকা যেয়ে চিকিৎসা নিতে পারত।’

জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, ‘এটা কর্তৃপক্ষের অবহেলা হতে পারে। আবার অসাধু অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসায়ীদের কারসাজি ও যোগসাজশে এই সরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে অকেজো করে রাখা হয়েছে। আমরা সাধারণ মানুষ তাই ভাবব।’

এ নিয়ে জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. ফজলুল হক বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। যাতে আমরা জেলার অ্যাম্বুলেন্স সেবাকে আরও উন্নত করতে।’

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি