শেরপুরে ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণাকারীর সহযোগী গ্রেপ্তার

সর্বমোট পঠিত : 128 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

শেরপুরের শ্রীবরদীতে ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে প্রতারনা করে বিবাহ, অর্থ আত্মসাৎ ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদানকারীর সহযোগী মো. রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তাকে শেরপুর পৌর শহরের সজবরখিলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত রফিকুল শ্রবিরদী উপজেলার কুরুয়া এলাকার মো. আক্কাস আলীর ছেলে।


শেরপুরের শ্রীবরদীতে ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে প্রতারনা করে বিবাহ, অর্থ আত্মসাৎ ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদানকারীর সহযোগী মো. রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তাকে শেরপুর পৌর শহরের সজবরখিলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত রফিকুল শ্রবিরদী উপজেলার কুরুয়া এলাকার মো. আক্কাস আলীর ছেলে।

র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, ফেইসবুকের সূত্র ধরে জেলা সদরের চান্দের নগর (মুসলিম পাড়া) এলাকার মোঃ আব্বাস আলীর ছেলে মিলন সরকার ওরফে লিটনের সাথে কুরুয়া এলাকার মো. আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে মোছা. জোসনা পারভীনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরই প্রেক্ষিতে গত বছরের ২০ মে মো. মিলন সরকার ওরফে লিটন পুলিশের এএসআই পরিচয় দিয়ে ২ লক্ষ টাকা কাবিনে মোছা. জোসনা পারভীনের সাথে বিবাহের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। পরবর্তীতে পুলিশের ডিউটির কথা বলে মোছা. জোসনা পারভীনকে তার বাবার বাড়ীতে রেখে চলে যায়। এর কিছুদিন পর লিটন এসআই পদে পদোন্নতির কথা বলে তার স্ত্রীর নিকট ৬ লক্ষ টাকা দাবি করে। 

স্বামীর ভবিষ্যতের কথা ভেবে জোসনা পারভিন জমিজমা এবং স্বর্ণালংকার বন্ধক রেখে লিটনকে বিভিন্ন সময়ে ৯ লক্ষ টাকা মো. রফিকুল ইসলামের সন্মুখে লিটনকে প্রদান করে। ওই টাকা পাওয়ার পর মো. মিলন সরকার ওরফে লিটন তার স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে জোসনা পারভিন তার শ্বশুর বাড়ীতে গেলে মো. রফিকুল ইসলাম জোছনা পারভিনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ খুন করার হুমকি দিয়ে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিলে মোছা. জোসনা পারভীন বাদী হয়ে শ্রবিরদী থানায় প্রতারনার মামলা দায়ের করে। এরপর থেকেই গ্রেপ্তার এড়াতে তারা আত্মগোপনে ছিল রফিকুল।

পরে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মো. আবরার ফয়সাল সাদীর নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল শনিবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে শেরপুর পৌর শহরের সজবরখিলা পাইওনিয়ার একাডেমী স্কুলের সামনে থেকে মো. রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। পরে গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে শ্রীবরদী থানায় মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি