বগুড়ায় হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

সর্বমোট পঠিত : 21 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম বলেন, রায় ঘোষণার সময় থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি পলাতক ছিলেন। তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় মামুনকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।


বগুড়া সদরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক সাইদুল ইসলাম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. মামুনকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে তাকে আদালতে নেওয়া হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে ঢাকার গাবতলী বাসট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার মামুন শহরের ফুলবাড়ী মধ্যেপাড়ার মো. আলমের ছেলে।

রিকশাচালক সাইদুলকে হত্যার দায়ে চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি মামুনসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় থেকে তিন আসামিই পলাতক ছিলেন। পলাতক বাকি দুইজন হলেন, শহরের কাটনারপাড়ার কুবা মসজিদ সংলগ্ন মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে মো. জালাল (৪০) ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার আরিফ খা বাসুদেবপুরের জহুরুল ইসলামের ছেলে শাহিন ইসলাম (২৭)।


​​​​​​​

পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামি সাইদুলের অটোরিকশা ছিনতাই করে। পরে তাকে গলা কেটে হত্যা করে মরদেহ শহরের ধরমপুর গড়ের হাট ঈদগাঁহ মাঠের পূর্বপাশে টিএমএসএসের ইউক্লিপ্টাস বাগানের মধ্যে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মানিক মিয়া বাদী হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ প্রথমে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মামুনকে গ্রেপ্তার করলে সে হত্যাকাণ্ড ও ছিনতাইয়ের ঘটনা স্বীকার করে অপর দুই আসামি জালাল ও শাহিনের নাম বলে। পরে তাদেরও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দুই বছর জেল হাজতে থেকে তারা জামিনে বেরিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে প্রায়ই তারা অবস্থান পরিবর্তন করতো। পলাতক থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার মামুন গাবতলীতে বাসের হেলপার হিসেবে কাজ করতেন।

এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম বলেন, রায় ঘোষণার সময় থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি পলাতক ছিলেন। তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় মামুনকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি