ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার ৩ বছরেও সংস্কার হয়নি জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল

সর্বমোট পঠিত : 20 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

এ প্রসঙ্গে জামালপুর গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী এফ এম আশরাফুল আউয়াল রানা বলেন, ‘ওই ভবনটি ভেঙে একটি ১০ তলা, আট তলা বা ছয় তলা ভবন করার প্রস্তাব আমরা দিয়েছি। এটি বর্তমানে অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় আছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য এই প্রক্রিয়া একটু ধীরগতি ছিল। আশা করি, এটা অনুমোদন পেলে আমরা প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চালাতে পারব।’


জরাজীর্ণ ভবনেই চলছে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের কার্যক্রম। ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার তিন বছর পরও সেটি সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। দুর্ঘটনার আশঙ্কার মধ্যেই অনেকটা বাধ্য হয়ে হাসপাতালে যাচ্ছেন চিকিৎসক ও রোগীরা। এদিকে নতুন ভবন নির্মাণে উচ্চ পর্যায়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জামালপুর শহরের পাথালিয়া এলাকায় ১৯৪৬ সালে জেনারেল হাসপাতাল নির্মাণ করে ব্রিটিশ সরকার। ২০০৩ সালে উন্নয়নকাজের পর এর নাম দেওয়া হয় আড়াই শ শয্যা বিশিষ্ট জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল। ৭৮ বছরের পুরনো এই হাসপাতালের বহির্বিভাগের অংশটি তিন বছর আগে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে গণপূর্ত বিভাগ। মাঝে-মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। তারপরও চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম।

আড়াই শ শয্যা বিশিষ্ট জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের একজন চিকিৎসক জানান, ঝুঁকি নিয়ে শঙ্কার মধ্যেই কাজ করেন হাসপাতালে। মাথার ওপর অনেক সময়ই ভবনের পলেস্তারা খসে পড়ে। কখনও কখনও আতঙ্কে টেবিলের নিচেও ঢুকে পড়তে হয়েছে তাঁকে।

হাসপাতালে আসা রোগীরাও বলছেন যে কোনো সময় ভবন ধসে পড়ার আতঙ্কের কথা।

এমন পরিস্থিতিতে রোগীর সেবা যাতে বন্ধ না হয়, সে জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

এ প্রসঙ্গে হাসপাতালটিতে কর্মরত জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. রবিন বলেন, ‘সরকারের কাছে আমাদের আবেদন বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের আবেদন। আমাদের যেন নতুন ভবনে স্থানান্তর করা হয়। প্রাণ খুলে কোনো রকমের ঝুঁকি না নিয়ে আমরা নিশ্চিন্তে যেন চিকিৎসা সেবা দিতে পারি।’

কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন ভবন নির্মাণের জন্য এরই মধ্যে উচ্চ পর্যায়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমোদন মিললেই শুরু হবে কাজ।

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. মাহফুজুর রহমান সোহান বলেন, ‘আমরা গণপূর্তের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য চাহিদা দিয়েছি। আশা করছি, তারা যাতে নতুন ভবন নির্মাণের প্রক্রিয়া চালু করে দেয়। প্রতিনিয়ত আমাদের স্বাস্থ্য সেবা দিতে ব্যাহত হচ্ছে। আমরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

এ প্রসঙ্গে জামালপুর গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী এফ এম আশরাফুল আউয়াল রানা বলেন, ‘ওই ভবনটি ভেঙে একটি ১০ তলা, আট তলা বা ছয় তলা ভবন করার প্রস্তাব আমরা দিয়েছি। এটি বর্তমানে অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় আছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য এই প্রক্রিয়া একটু ধীরগতি ছিল। আশা করি, এটা অনুমোদন পেলে আমরা প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চালাতে পারব।’

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ রোগী চিকিৎসা নেন।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি