গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্র সাব্বির (১১) হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। আপন চাচা কর্তৃক বলাৎকারের প্রতিবাদ করায় তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পুলিশ অভিযুক্ত চাচা ইমরান আকন্দ (৩০) কে মঙগলবার রাতে গ্রেফতার করেছে। সে পুলিশের কাছে হত্যার দায় শিকার করেছে।
গোবিন্দগঞ্জে শিশু সাব্বির হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন
![](https://natunjug.com/uploads/news_image/news_11703_1.jpg)
![জুম ইন](https://natunjug.com/uploads/others/ZoomIn-icon.png)
![জুম আউট](https://natunjug.com/uploads/others/ZoomOut-icon.png)
![পরে পড়ুন](https://natunjug.com/uploads/others/Read-later.png)
![প্রিন্ট](https://natunjug.com/uploads/others/Print-icon.png)
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্র সাব্বির (১১) হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। আপন চাচা কর্তৃক বলাৎকারের প্রতিবাদ করায় তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পুলিশ অভিযুক্ত চাচা ইমরান আকন্দ (৩০) কে মঙগলবার রাতে গ্রেফতার করেছে। সে পুলিশের কাছে হত্যার দায় শিকার করেছে।
আজ বুধবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ থানা চত্বরে এক প্রেসব্রিফিংয়ে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন ও অর্র্থ) ইবনে মিজান সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
অভিযুক্ত ইমরান সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম দুর্গাপুর গ্রামের আলেক আকন্দ গটু। আর হত্যাকান্ডের শিকার সাব্বির(১১) একই গ্র্রামের আনিছুর রহমান খুরুর পুত্র ও রাঘবপুর এতিম খানা ও হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। ইমরান আকন্দ সাব্বিরের আপন ছোট চাচা।
জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান জানায় সাব্বিরকে সে দীর্ঘ ৩ বৎসর যাবৎ শারীরিক ভাবে নির্যাতন (বলাৎকার) করে আসছিল। এ ঘটনা অন্যদের বলে দেয়ার ভয়ভীতি দেখালে গত ১৭ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৭টার দিকে কৌশলে সাব্বিরকে ডেকে নিয়ে বসতবাড়ির পশ্চিম পার্শে কলার ক্ষেতে নিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে।
পরদিন ১৮ ডিসেম্বর হরিরামপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর আলাই নদীর পাড়ে লুকানো গলায় গেঞ্জি দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় সাব্বিরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর মামলা দায়ের হলে তদন্ত শেষে পুলিশ ইমরান কে গ্রেফতার করে। জিঞ্জাসাবাদে ইমরান পুলিশের কাছে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে।
প্রেসব্রিফিংয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (সি- সার্র্কেল) উদয় কুুমার সাহা, থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুুল আলম শাহ, পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল মোত্তালেব সরকার, এস আই রায়হানুজ্জামান, এসআই মানিক রানা, এ এস আই আব্দুর রাাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য