শিশুর ভয়ভীতির নিয়ন্ত্রক ব্যাকটেরিয়া!

শিশুর ভয়ভীতির নিয়ন্ত্রক ব্যাকটেরিয়া!
সর্বমোট পঠিত : 257 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

মানুষ অনেক কারণেই ভয় পেতে পারে। কেউ বেশি ভয় পায়, কেউ কম ভয় পায়। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে ভয়ের এই মাত্রা কেমন হবে তার সঙ্গে পাকস্থলীতে থাকা এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির একদল বিজ্ঞানী। বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আমাদের শরীরের ভেতরে থাকা ক্ষুদ্র জীবাণুগুলো যেভাবে আমাদের অস্তিত্বকে প্রভাবিত করে সেটি বেশ অবাক করার মতোই।


আমাদের শৈশবে পাকস্থলিতে থাকা অণুজীবরা আমাদের পরবর্তী জীবনের অনেক কিছুই নির্ধারণ করতে পারে।


মিশিগান ইউনিভার্সিটির ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, যেসব শিশুদের পাকস্থলিতে অণুজীবের ভারসাম্য কম, তারা পাকস্থলীতে অণুজীবের ভারসাম্য থাকা শিশুদের তুলনায় অল্পতেই বেশি ভয় পেয়েছে।


গবেষণায় এক বছর বয়সী ৩০ শিশু অংশ নিয়েছিল। গবেষকরা তাদের ভয় দেখাতে হ্যালোইন মুখোশ পরে হাজির হয়েছিলেন। তবে পুরো গবেষণাটিই এমনভাবে পরিচালিত হয়েছিল যাতে শিশুরা খুব বেশি ভয় না পায়। এসময় তাদের অভিভাবকরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।


গবেষণায় অংশ নেয়া শিশুদের মল পরীক্ষা করে পাকস্থলীর অণুজীবের পরিমাণ বোঝার চেষ্টা করা হয়েছিল।


গবেষণায় দেখা যায়, পাকস্থলীতে ব্যাকটেরিওডস নামের অণুজীবের কম উপস্থিতি এবং ভেইল্লোনেল্লা, ডায়ালিস্টার, বিফিডোব্যাকটেরিয়াম, ল্যাকটোবেসিলাস ও ক্লস্ট্রিডায়ালস নামের অণুজীবের আধিক্য বেশি ভয় পাওয়ার পেছনে দায়ী।


গবেষক দলের সদস্য রেবেকা নিকমায়ার বলেন, ‘শিশুদের বিকাশে ভয় একটি স্বাভাবিক বিষয়। নানা বিপদ সম্পর্কে সচেতন হতে এটির দরকার রয়েছে। কিন্তু নিরাপদ থাকার সময়েও তারা যদি ভয় পায়, তাহলে পরবর্তী জীবনে এর থেকে উদ্বিগ্নতা ও বিষণ্ণতার মতো অসুখ তৈরি হতে পারে।’


গবেষকরা বলছেন, পাকস্থলীতে অণুজীবের তারতম্য কেন ভয়ের মাত্রার ওপরেও প্রভাব ফেলে সেটি নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এটি বোঝার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি