নিউজ ডেস্ক:
অনুকূল আবহাওয়া ও সোলার প্যানেল ব্যবহারের মাধ্যমে স্বল্প খরচে সেচ সুবিধা পেয়ে খুশি ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকরা। আশাবাদী বাম্পার ফলনেরও। কৃষি বিভাগ বলছে, ধান আবাদে সোলারের মাধ্যমে স্বাচ্ছন্দ্যে সেচ সুবিধা নিতে পারছেন কৃষক।
কৃষির ওপর নির্ভরশীল উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ। চলতি বোরো মৌসুমে ধান আবাদে মাঠে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে জেলা সদরের ভেলাজান ও মোলানী এলাকার কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে ভাড়ায় চালিত ২০টি ভ্রাম্যমাণ সোলার প্যানেল বসিয়ে সেচ সুবিধা গ্রহণ করছেন কৃষকরা। অনায়াসে স্বল্প খরচে সেচ সুবিধা পেয়ে খুশি তারা।
আগে এক বিঘা জমির ধান আবাদে সেচ দিতে লাগতো ৩ থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। তবে এখন খুশিমতো সেচ নিতে পারছেন ২ হাজার টাকায়। কমেছে ভোগান্তিও। এ ছাড়া সার বীজ কীটনাশকের সংকট না থাকায় নির্বিঘ্নে চাষাবাদ করতে পারছেন তারা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আবু হোসেন বলছেন, স্বাচ্ছন্দ্যে ধান আবাদে সোলারের মাধ্যমে সেচ সুবিধা নিতে পারছেন কৃষক।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় এবার বোরো মৌসুমে ৫৯ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। আর ৪০টির বেশি ভ্রাম্যমাণ সোলার প্যানেলের মাধ্যমে সেচ সুবিধা গ্রহণ করছেন কৃষকরা।